Wellcome to National Portal
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ আলী হোসেন

জনাব মোঃ আলী হোসেন

সচিব

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

 

জনাব মোঃ আলী হোসেন, সচিব, বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-এর জীবন বৃত্তান্ত

 

জনাব মোঃ আলী হোসেন ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। জনাব হোসেন তাঁর কর্মজীবনে সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি তাঁর যোগ্যতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদায়নের পূর্বে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ ও এনটিএমসি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তার পূর্বে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পারমাণবিক বিদ্যুৎ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ইউরোপীয়ন অনুবিভাগের যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন তাঁর কর্মকালের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এখানে তিনি রাশান ফেডারেশন, CIS দেশসমূহসহ, EU, EIB, DFID ও AFD এর মত আন্তর্জাতিক সংস্থা হতে দেশের জন্য বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তা পেতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি বাংলাদেশের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেন। বিশেষত তিনি Bangladesh-Russia Intergovernmental Commission on Trade, Economic, Scientific and Technical Cooperation এর ফোকাল পারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর কূটনৈতিক বুদ্ধিমত্তা ও কৌশলগত দক্ষতার মাধ্যমে তিনি মস্কো ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ কমিশনের দুটি সভা আয়োজন করেন; যা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের FTA অনুবিভাগ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ক্রয় ও অর্থনৈতিক অনুবিভাগে দায়িত্ব পালন করেন।

 

জনাব আলী হোসেন মাঠ প্রশাসনে সহকারী কমিশনার, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিনি বিচারিক দায়িত্বও পালন করেন। তিনি কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলার মেঘা প্রকল্পসহ অন্যান্য বড় বড় ২২ টি প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় ও জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে জেলা ম্যাজিস্ট্রট হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ২০১৭ সালে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের সংকট (বাংলাদেশে প্রায় ১ মিলিয়ন মায়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ) মোকাবেলায় জেলার প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে গতিশীল ভূমিকা রাখেন। তিনি বিভিন্ন সরকারি/স্থানীয়/আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশ হতে প্রেরিত মানবিক সহায়তাসমূহ বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের মাঝে সঠিকভাবে বন্টন ও সমন্বয় করেন। এছাড়া তিনি বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসাসহ নানা ধরণের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য UNHCR, IOM, WFO, UNICEF-সহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা, আর্ন্তজাতিক সংস্থাসমূহের সমন্বয়ে Joint Response Plan প্রস্তুতের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের সহায়তা প্রদানের জন্য জেলা টাস্কফোর্সের সভাপতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

 

জনাব হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ হতে মাস্টার্স এবং International Business এ MBA ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের Bradford University হতে Financial Economics এ মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার Macquarie এবং Queensland বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে যেমন National Institute of Development Administration, Thailand and National Center for Good Governance, India বহুমাত্রিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি সরকারি কাজে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, রাশিয়া, বেলারুশ, তুরস্ক, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, লাওস এবং ভারত ভ্রমণ করেছেন।

 

ব্যক্তিগতজীবনে জনাব হোসেন বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের গর্বিত পিতা। তাঁর সহধর্মিণী ২১তম বিসিএস অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস্ ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা।