Wellcome to National Portal
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩১st মার্চ ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশ

গৃহীত / প্রস্তাবিত কুইক উইন স্মার্ট উদ্যোগের নাম:
AI Assisted Bioinformatics Based SMART IVD Kit for Hepatitis B

কুইক উইন স্মার্ট উদ্যোগের সংক্ষিপ্ত ধারণা / বিবরণ:
হেপাটাইটিস-বি সংক্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর প্রথম ১০ টি দেশের মধ্যে একটি। হেপাটাইটিস-বি হল হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট লিভারের একটি সংক্রমণ। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিরোধ/প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে, এই সংক্রমণ লিভার সিরোসিস থেকে শুরু করে লিভার ক্যান্সারের মত প্রাণঘাতি রূপ নেয়। ক্রনিক হেপাটাইটিস-বি সংক্রমণের অন্তত শতকরা ২৫ ভাগের পরিণতি ক্যান্সার। USA-এর Centers for Disease Control and Prevention (CDC)-এর রিপোর্ট অনুসারে সারা পৃথিবীতে বছরে প্রায় ২৯৬ মিলিয়ন মানুষ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়। যার মধ্যে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা ৬ মিলিয়ন। বছরে মৃত্যুর সংখ্যা গড়ে ৮ লক্ষ ২০ হাজার। প্রতি মিনিটে হেপাটাইটিস-বিতে আক্রান্ত হয়ে ২ জন রোগী মৃত্যবরণ করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্রও উদ্বেগজনক। সংশ্লিষ্ট একটি গবেষণা প্রবন্ধ (Zafrin N, et.al Hepatitis B Virus Infection: Knowledge and Awareness Among the Patients Admitted in a Tertiary Care Hospital in Bangladesh. Viral Hepat J 2019;25:6-13) এবং স্বাস্হ্যসেবা অধিদপ্তরের হেলথ বুলেটিন, ২০২০ থেকে জানা যায়, দেশে হেপাটাইটিস-বি সংক্রমণজনিত মৃত্যুর হার প্রতি এক লক্ষে ৫.৪৬। বর্তমানে ১ কোটিরও বেশি মানুষ ভাইরাল হেপাটাইটিসে আক্রান্ত। শুরুতেই সনাক্তকরণ করা গেলে এই প্রাণঘাতি ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন নির্ভরযোগ্য পরীক্ষণ। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনাধীন প্রতিষ্ঠান BRiCM উদ্যোগ নেয় হেপাটাইটিস-বি সনাক্তকরণের মলিক্যুলার প্রযুক্তির ইনভিট্রো ডায়াগনোস্টিক (IVD) কিট উদ্ভাবনের। বর্তমান উদ্যোগটি কেমোমেট্রিক্স পদ্ধতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ক্লাউড ডেটা, রোবটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) ব্যবহার করে মলিক্যুলার ও বায়োটেকনোলজি গবেষণার মাধ্যমে ইনভিট্রো ডায়াগনোস্টিক (IVD) কিট উদ্ভাবন সংক্রান্ত।

উদ্যোগটির মাধ্যমে যে সমস্যার সমাধান হয়েছে / হবে:
হেপাটাইটিস-বি সনাক্তকরণের কিট সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর। যার ফলে এর মূল্য অধিক ও প্রাপ্যতা অনিশ্চয়তামুক্ত নয়। দেশে উদ্ভাবনের ফলে কিট সহজলভ্য ও ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ায়, এই কিট দ্বারা সংক্রমণের শুরুতেই রোগ সনাক্তকরণ সম্ভব হবে। বিশেষ করে, যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রে জন্মের সময়ে বা ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে, ব্যাপকহারে স্ক্রিনিং-এর মাধ্যমে সংক্রমণ সনাক্তকরণ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে এটি প্রতিরোধ/ প্রতিকারের ব্যবস্হা নেয়া সহজ হবে। নির্ভরযোগ্য এ কিটটি মূল্য সাশ্রয়ী হওয়ায়, পরীক্ষা ব্যয় হ্রাস পাবে এবং অত্যন্ত অপরিহার্য এই স্বাস্থ্যপরীক্ষা সাধারন মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যেই থাকবে।

উদ্যোগ বাস্তবায়নকারী দপ্তর/ সংস্থার নাম:
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টি টিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্ (বিআরআইসিএম), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

কুইক উইন স্মার্ট উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহযোগী/ অংশীজন সংস্থার নাম:
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ

কুইক উইন স্মার্ট উদ্যোগটির উপকারভোগী:
জনগণ